যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃযুবলীগ সন্ত্রাসীদের একটি বুলেট ১৮ই জুলাই তার মাথায় আঘাত করে। সে ২২শে জুলাই একটি হাসপাতালে মারা যায়।
জীবনীঃমা-বাবার সংসারে উপার্জনক্ষম মেয়ে ছিলেন মোসাম্মৎ লিজা। সাত বছর সংসারের খরচ চালিয়েছেন। আবার নিজেও মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। মেয়েকে হারিয়ে দিশাহারা অসুস্থ বাবা-মা। বিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু খরচও জোগাড় করেছিলেন নির্মাণশ্রমিক বড় ভাই।
কিন্তু সব স্বপ্ন জিইয়ে রেখে চলে গেলেন লিজা। জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া লিজা ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে থেকেও ফ্যাসিবাদের বুলেট থেকে রেহাই পাননি। সেই থেকে পরিবারটিতে এখনো স্বজন হারানোর গভীর শোক।
জুলাই বিপ্লবে যুবলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে চার ঘণ্টা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে মারা যান লিজা। গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার দেউলাশিবপুর গ্রামে। শহীদ লিজার লাশ দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে।
বড় ভাই মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বোনটার বিয়ের বয়স হয়েছিল, তাই বাবা-মা কিছুদিন ধরেই তাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন। লিজা বলতেন, কোরআনের ১৮ পারা মুখস্থ হইছে, হেফজ শেষ করতে আর তিন মাস লাগবে। হাফেজ হওয়ার পরই সে বাড়িতে যাবে। কিন্তু হেফজ শেষ হলো না, আর বিয়ের পিঁড়িতেও বসা হলো না লিজার।’
১৮ বছর বয়সি লিজা আর্থিক অনটনে বছর ছয়েক আগে বড় ভাই রাকিবের মাধ্যমে ঢাকায় কাজ করতে আসেন। রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন লিজা। ওই বাসায় কাজ করার পাশাপাশি কাছের একটি মহিলা মাদরাসায় হাফেজি বিভাগে পড়তেন। শান্তিনগরের যে বাসায় কাজ করতেন সেই ভবনটি ছিল ১৪তলা। তারা থাকতেন সপ্তম তলায়।