জীবনীঃবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই মামুন নিয়মিত ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন। ৫ আগস্ট মামুন সকালে তার ‘বিসমিল্লাহ ফ্যাশন’ কারখানায় গিয়ে কাজ শুরু করেন।
দুপুর নাগাদ ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মামুন ‘বিসমিল্লাহ ফ্যাশন’ কারখানা থেকে বের হয়ে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে যোগ দেন।
‘মামুনের সঙ্গে আমিও মিছিলে যোগ দিই এবং আগারগাঁও এলাকায় যাই,’ সবুজ বলেন।
কিন্তু সবুজ আগারগাঁও থেকে আর সামনে যাননি। তবে, মামুন বিশাল বিজয় মিছিলের সঙ্গে এগিয়ে যান। সে সময় মিরপুর-১ গোলচত্বরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মিরপুর থানার সামনে পুলিশ নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ধাতব গুলি চালায়।
সবুজ জানান, ‘আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগীরা বিজয় মিছিলে হামলা চালায় এবং পুলিশ মামুনকে গুলি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আড়াইটার দিকে মামুনের বাম পিঠে একটি গুলি প্রবেশ করে এবং বাম বুক দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটায় ছাত্ররা তাকে মিরপুর-১০-এর অলোক হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
কেউ একজন মামুনের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে এ খবর জানালে সবুজ ও মামুনের বন্ধু রাসেল সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে যান।
অলোক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সবুজ মামুনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
‘কিন্তু, পথে পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণের কারণে আমরা কোনো রকমে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে পৌঁছতে পারি। সেখানে বিকেল সাড়ে চারটায় ডাক্তার মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন,’ সবুজ বলেন।
পরে ৬ আগস্ট মামুনের লাশ তার মাতৃভূমি আদম বড়াইপাড়া গ্রামে নিয়ে আসা হয় এবং সকাল ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।