জীবনীঃ৪ আগস্ট, মির্জাপুরের গোড়াইতে কোঠা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় ইমনও সকলের সাথে আন্দোলনে অংশ নেন। হঠাৎ পুলিশের একটি বুলেট ইমনের বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। পিচ ঢালা রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ইমন।
এর পর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১৮ আগস্ট সকালে না ফেরার দেশে চলে যান কলেজ ছাত্র ইমন।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন গ্রামের মৃত মো. জুলহাস শেখ ও রিনা বেগম দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ইমন ছিলেন সবার বড়। ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে এ সংসারের হাল ধরেন ইমন।
অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন ইমন। লেখা-পড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে সংসারের খরচ চালাতেন। গোপালপুর মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন ইমন। এরপর সর্বশেষ হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন।
ইমন সবসময় স্বপ্ন দেখতেন, লেখাপড়া শেষ করে ভাল চাকুরি করে একদিন সংসারের দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। সেই স্বপ্ন আর পূরণ করতে পারলেন তিনি। বড় অসময়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।