জীবনীঃ‘আব্বা, আমি আর বাঁচমু না। তোমাদের মনের আশা পূরণ করতে পারলাম না। আমাকে মাফ করে দিও। আমার ওপর থাইক্কা দাবি ছাইড়া দিয়ো আব্বা। আমি আর বাঁচমু না।’ এ কথাগুলো শহিদ আসিফুরের।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্ত্বর এলাকায় শহিদ হন তিনি। আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে রিকশায় বাবা মো. আজমত হোসেনকে এসব কথা বলেছিলেন আসিফুর।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সম্মিলিত আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন আসিফুর। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসিফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামে। তিনি দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। তার বাবা মো. আজমত হোসেন মিরপুর-১০ এলাকায় গার্মেন্টস জুটের ব্যবসা করতেন এবং আসিফুর বাবার সঙ্গে মিরপুরে থাকতেন।
আসিফুরের বড় বোন ঢাকায় বিবাহিত, আর তার মা ফজিলা খাতুন ছোট সন্তানদের নিয়ে গ্রামে থাকেন। তিনি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিলেন বলে তার পরিবার জানায়।
১৯ জুলাই সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সর্বশেষ পরিবর্তন:
আসিফুর রহমান এর তথ্যে কোনো অসঙ্গতি পেয়েছেন? অথবা আরো তথ্য যুক্ত করতে চান?আসিফুর রহমান এর তথ্য দিন