জীবনীঃকিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত অষ্টগ্রাম উপজেলা বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের ভাটিরনগর গ্রামের হরিকান্ত দাস ও সবিতা রানী দাসের ছেলে তনয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত তনয় দাস অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে, কুলিয়ারচর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। কিন্তু পরিবারের অভাব দূর করতে প্রায় তিন মাস আগে বোর্ড বাজারে একটি সেলুনে কাজ শুরু করেন। পরিবার দেখছিল কিছু আশার আলো। কারণ কিছু টাকা পাঠাতে শুরু করেন তনয়। এতে বাবা মায়ের মন আপ্লুত হয়ে ওঠে। তারা ভেবেছিলেন, এবার বুঝি আঁধার কাটল। কিন্তু বিধি বাম। তাদের চোখের আনন্দ আলো এভাবে যে হারিয়ে যাবে তারা তা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি।
মৎস্যজীবী হরিকান্ত দাস ও সবিতা দাসের সংসারে নিত্যদিনের অভাব। হরিকান্ত হাওরে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন। তাতে কতোটুকুই বা আর আয় হয়? তনয় নেই। তাই নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা থেকে তাদের মুক্তি মেলারও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে একমাত্র এ ছেলের জন্মের আগে আরও দুই সন্তান মারা যায় তাদের। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা সবিতা এখন পাগল প্রায়। এছাড়া সন্তান ছাড়া ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন এই দম্পতি।
তনয়ের কাকার ছেলে কৃপা সিন্ধু দাস (৩৬) বলেন, ‘তনয় অনেক ভালো ছেলে ছিলো। সবার সাথে হাসিখুশি ভাবে মিশতো। আমার কাকা তাদের একমাত্র সম্বল তনয়কে হারিয়ে এখন নিঃস্ব। কোন রকম টেনেটুনে চলছে তাদের সংসার।’
তনয়ের পিতা হরিকান্ত দাস বলেন, ‘পোলাডারে লেখাপড়া করাইতে চাইছিলাম, পারলাম না অভাবের কারণে। অভাবের তাড়নায় শেষপর্যন্ত কাজ করতে গাজিপুর গেছিল। এটাই কাল হবে কে জানতো। এখনতো পোলাডাই আমার নাই হয়ে গেলো। ভগবান ওরে নিয়া গেলো।’
তনয় শহিদ হওয়ার পর বিএনপি ও জামায়েতে ইসলামীর কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
সর্বশেষ পরিবর্তন:
তনয় দাস এর তথ্যে কোনো অসঙ্গতি পেয়েছেন? অথবা আরো তথ্য যুক্ত করতে চান?তনয় দাস এর তথ্য দিন