জীবনীঃ‘আমার স্বামী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ও একজন সরল প্রকৃতির মানুষ। একজন ননদ, সে-ও প্রতিবন্ধী। দেবর রথিন বিশ্বাসের সহযোগিতায় আমাদের সংসার চলত। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রথিন শহীদ হয়। এর পর থেকে আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের যেকোনো বিপদে-আপদে রথিনই ছিল একমাত্র ভরসা। রথিনকে আমরা সন্তানের মতো জানতাম। আমরা এখন কীভাবে বাঁচব?’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রথিন বিশ্বাসের ভাই বিপ্লব বিশ্বাসের স্ত্রী মাধবী বাড়ৈ। রথিন বিশ্বাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রামের মৃত দানিয়েল বিশ্বাসের ছেলে।
মাধবী আরও বলেন, ‘রথিন ঢাকার রাজাবাজার উইলিয়াম কেরি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিল। তার চাকরির আয়েই আমাদের সংসার চলত। এখন আমাদের সংসার কীভাবে চলবে, তা ভেবে ভেবেই আমাদের দিন কাটছে।’
স্বজন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রথিন বিশ্বাস আহত হন। এরপর নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিনই তিনি মারা যান। পরদিন কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে গ্রামের বাড়িতে এনে বাবা-মায়ের সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বিষয়টি বাড়ির বাইরের লোকজন খুব একটা জানতেন না। গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রথিনের বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সর্বশেষ পরিবর্তন:
রথিন বিশ্বাস এর তথ্যে কোনো অসঙ্গতি পেয়েছেন? অথবা আরো তথ্য যুক্ত করতে চান?রথিন বিশ্বাস এর তথ্য দিন