যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃমোতালেব ০৪ আগস্ট বিকেল বেলা বাসায় না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং জিগাতলা ছাত্রদের সাথে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। এসময় দূর্বৃত্যকারীরা গোলাগুলি শুরু করলে সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে সরে আসতে পারলে ও মোতালেব সরে আসতে পারে না। দূর্বৃত্যকারীরা তাকে উদ্দেশ্য করে বুকের মধ্যে ৪-৫ টি গুলি করে। এরপর তাকে রাস্তার অবস্থান করা লোকেরা শিকদার মেডিকেল কলেজ এ নিয়ে যায়। শেখান থেকে অনেকক্ষণ চিকিৎসা দেয়ার পর ডাক্তার রা তাকে মৃত ঘোষণা করেন । এসময় তার পরিবার এর খোঁজ না পেয়ে যারা হাসপাতাল এ নিয়ে ছিলেন তারা তাকে শেষ চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেতে নিলেও নিয়ে যেতে পারে না । এবং তার লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এ নিয়ে যায়। শহীদ মিনার এ সন্ধ্যায় থাকা দুইটি লাশ এর মধ্যে একটি ছিল মোতালেব এর লাশ ছিল । এদিকে পরিবার এর লোকজন এর কাছে খবর আসে এবং তারা শিকদার মেডিকেল এ যেয়ে তাকে খোঁজ করলে ও তারা বলেন তাকে ঢাকা মেডিকেল এ পাঠানো হয়েছে । ঢাকা মেডিকেল এ ও তার কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার পাগল এর মতো তাকে খুজতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত তার লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পাওয়া যায় । পরবর্তীতে তার লাশ বাসায় আনা হয় এবং জানাযাহ্ অনুষ্ঠিত হয় এবং নোয়াখালী তে তাদের নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে দাফন করা হয়।
জীবনীঃশহীদ আব্দুল মোতালেব ডাকনাম : মুন্না, পিতার নাম : আব্দুল মতিন, মাতার নাম : জাহানারা বেগম বয়স : ১৪ বছর, স্কুল: মনেশ্বর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেনী: ৮ম বর্তমান ঠিকানা : ৬৩/এ গজমহল , হাজারীবাগ , স্থায়ী ঠিকানা : বড় নেওয়াজপুর , মিরেরপাড়া , বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।