যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃকলেজ মোড়, শেরপুর সরকারি কলেজ, শেরপুরে প্রশাসনের গাড়ি চাপায় শহীদ হন।
জীবনীঃতার জন্ম ১৯ই জানুয়ারী ২০০৫ । পরিবারে দুইভাই তিন বোনের ভিতরে মাহবুব ছিলো ৪র্থ। পরিবারে মাহবুব কে স্বপ্নের কোন সীমা ছিল না, একসময় প্রতিষ্ঠ হয়ে হাল ধরবে পরিবারের,কিন্তু এই সবি আজ কল্পকাহিনী। মাহবুব ছোট থেকেই ছিলো প্রখর মেধাবী আর প্রযুক্তির প্রতি তীব্র আকর্ষণ যা তাকে সাহায্য করে একজন সফল আইটি উদ্যোগত হতে। তাই তো মাধ্যমিকের কোনরকম গন্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুতেই প্রতিষ্ঠা করেন আই.টি ল্যাবের মতো কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন মা গৃহিনী , কথা ছিলো দুই ভাই মিলে কঠোর পরিশ্রম করে বোনের লেখাপড়ার খরচসহ দূর করবেন পরিবারের আর্থিক সংকট অবস্থা। যা আজ শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল। এমন কোন প্রতিভা নেই যা জানার বাকী ছিলো মাহবুবের, ছিলো ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম হওয়া সহ,শেখ রাসেল প্রদর্শনি প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ স্থান পাওয়ার সনদ। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে তৈরী করেছিলেন একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার,ওয়েব ডেভেলপিং এর মতো কঠিন সব কার্মে । ছিলেন আইসিটি ডিভিশন পরিচালিত “ হার পাওয়ার ” প্রকল্পের শেরপুর জেলার কো-অরডিনেটর। আজ তাকে হারিয়ে যেন পরিবারে যেন শোকের বন্যা বয়ছে। তার ভাই মাজহারুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “ আমার ভাই অত্যান্ত মেধাবী ছিলো । আজ আমি তাকে হারিয়ে নিঃস্ব। আমার কানের কাছে আর কখনোই মাহবুবের ম্যাসেঞ্জারে টুং টাং শব্দ শুনতে পারবো না, রাতের বেলা আর কখনো জিজ্ঞেসা করা হবে না ভাত খেয়েছের, আর কখনো বলা হবে না রাত অনেক হয়েছে এবার শুয়ে পর, হয়তো কখনো আর কোনদিন কলও করা হবে না । আমি চাই আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডে প্রশাসনের গাড়ী চালক সহ জড়িতদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক । সকলে আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন ” এলাকাবাসী,শিক্ষক ও সহপাঠী তার এমন নির্মম অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ।