যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃ৪ আগস্ট সকাল ১১ টা থেকে ছাত্ররা ১ দফা দাবি নিয়ে ফেণী মহিপাল এ শান্তিপুর্ণ সমাবেশ করে। দুপুর ১.২০ এর দিকে ছাত্ররা রাস্তায় নামাজ আদায় করে আবার সমাবেশ শুরু করলে ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের উপর আক্রমণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাথে সাথে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ। ৩ জন ছাত্র তাকে একটা বস্তিতে নিয়ে গেলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে শ্রাবণ শহীদি তামান্না নিয়ে মাবুদের নিকট চলে যান। তার শরীরে ৫ টা গুলি লাগে।
জীবনীঃফেনী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম জেলার ফেনী উপজেলায় বারাহিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। নেছার আহমেদ এবং ফাতেমা আক্তারের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ছিলেন সবার বড়। তিনি স্থানীয় ট্রাংক রোডের শিশুনিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেন।তিনি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়ে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এখান থেকে এসএসসি ২০২১ সালে পাস করে,ফেনী সরকারি কলেজে ভর্তি হন।