যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃশনির আখড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। - নয়া দিগন্ত, ২২ জুলাই ২০২৪ (১ম ও ২য় পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)।
জীবনীঃ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ি ও শনির আখড়া এলাকায় ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়। বিকেলে ইউনুছ আলী শাওন দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামলে, হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিতে শহিদ হন।
শাওন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাগুড়ী গ্রামের কাজী বাড়ির হতদরিদ্র আবুল বাসারের ছেলে। তিনি ঢাকার শনির আখড়ার এক আত্মীয়ের কসমেটিকস দোকানের কর্মচারী ছিলেন। হাসপাতালের ২২টি লাশের নিচ থেকে তার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।
শাওনের বাবা জানান, তিনি প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কুলসুম বেগমকে বিয়ে করেন। এই সংসারের একমাত্র সন্তান ছিলেন শাওন। তার আগের সংসারের দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। শাওন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন।
শাওনের বাবা বলেন, 'ছেলেকে ভুলতে পারি না। তার ছবিগুলো দেখি, স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করছে। তাদের বিচার না হলে শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না।' তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম থেকে দুই লাখ ও সরকারিভাবে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা পেয়েছেন।
সংবাদকর্মী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শনির আখড়ার এক কসমেটিকস দোকানে শাওন পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। সেই টাকা দিয়ে সংসার চলতো। কিন্তু সরকার পতনের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে তিনি শহিদ হন।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, 'সরকার পতনের আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে ১৬ জন শহিদ হয়েছে, তাদের পরিবারের পাশে বিএনপি আছে।'
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন এ্যানী বলেন, 'বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে, কেউ বিচার এড়াতে পারবে না।'