জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা

জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা

ভ্যান চালক

রায়েরবাগ

১৯ই জুলাই, ২০২৪

ডেটা যাচাই করা হয়েছে
বয়সঃ৫১
জন্ম তারিখঃতথ্য অনুপস্থিত
জন্মস্থানঃদ্বিপাশা, মদনপুর, বাউফল, পটুয়াখালী
যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃছাত্রদের পানি বিতরন করা অবস্থায় পুলিশের গুলি মাথায় লেগে মগজ বের হয়ে যায়।
জীবনীঃভ্যানে করে দোকানে দোকানে মালামাল পৌঁছে দিয়ে যা আয় করতেন, তা দিয়েই চার সদস্যের সংসার চালাতেন জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা (৫১)। কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাতমুখর পরিস্থিতিতে চার দিন তিনি ভ্যান চালাতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়েই ১৯ জুলাই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হন জাহাঙ্গীর। পরিকল্পনা ছিল সবজি কিনে, তা বিক্রি করে চাল-ডাল কিনে বাসায় ফিরবেন। এ জন্য তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যান। সেখানে সকাল ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামে। ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মৃধার ছেলে তিনি। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন জাহাঙ্গীর। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পৈতৃক সূত্রে মাত্র দেড় শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তিনি। যেখানে ঘর উঠিয়ে থাকার মতো সামর্থ্য ছিল না। তাই স্ত্রী লাইজু বেগমকে নিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। বছরে এক-দুইবার বাড়ি আসতেন জাহাঙ্গীর। বাড়িতে নিজের ঘর না থাকায়, থাকতেন একই গ্রামে শ্বশুর মো. মোসলেম জোমাদ্দারের বাড়িতে। গতকাল সোমবার দুপুরে দ্বিপাশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে জাহাঙ্গীর আলমের কবর। ১৯ জুলাই রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জাহাঙ্গীরকে দাফন করা হয়। দাফনের দুই দিন পর স্ত্রী লাইজু বেগম ১৮ বছরের মো. সুজন ও তিন বছরের ছেলে মো. শান্তকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আবদুল গণি মৃধা (৬৭) প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন জাহাঙ্গীর। অভাবের কারণে ছেলে সুজনকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। সুজন বর্তমানে একটি দোকানে কাজ শিখছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে তাঁর ছোট ভাইয়ের পরিবারটি। আবদুল গণি আরও বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা মামলা করবেন না। কারণ, মামলা চালানোর মতো শক্তি ও সামর্থ্য কোনোটাই তাঁদের নেই। তিনি নিহত ভাইয়ের দুই ছেলে ও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সর্বশেষ পরিবর্তন:
জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা এর তথ্যে কোনো অসঙ্গতি পেয়েছেন?
অথবা আরো তথ্য যুক্ত করতে চান?জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা এর তথ্য দিন