যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃগুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বনশ্রীতে.
জীবনীঃ১৯ জুলাই। বেলা ৩ টার দিকে নাতি বাসিত খান মুসাকে নিয়ে আইসক্রিম কিনতে বাসার নিচে নামেন মায়া ইসলাম। বন্ধ থাকার কারণে নিচে নেমে মূল গেটের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেখানে তার সাথে ছিল নাতি মুসা খান। তারপর বাইরে থেকে আসা এক গুলি মুসার মাথায় লেগে তা বের হয়ে পেছনে থাকা দাদির তলপেটে ঢুকে যায়।
মাত্র সাত বছরে পা দিয়েছে বাসিত খান মুসা। মা নিশামনিকে বলেছিল, ‘মাম্মি, বাইরে গুলির শব্দ হচ্ছে।’ বাইরে গিয়ে গোলাগুলি দেখবে কি না জিজ্ঞেস করলে ওর মা ছেলেকে বাইরে যেতে ‘না’ করেন। পরে একসময় বাইরের পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত হয়ে এলে নাতি মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে ছয় তলার বাসা থেকে নিচে নেমে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান দাদি মায়া ইসলাম আর নাতি মুসা খান হয় মারাত্মক আহত।
মায়া ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে বনশ্রী এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ২০ জুলাই সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান মায়া ইসলাম (৫২)।