মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা
১৮ই জুলাই, ২০২৪
ডেটা যাচাই করা হয়েছে
বয়সঃ২২
জন্ম তারিখঃ১২/১২/২০০১
জন্মস্থানঃকুমারখালী, কুষ্টিয়া, খুলনা
যেভাবে শহীদ হয়েছেনঃপুলিশের গুলিতে নিহত।
একদম কাছ থেকে ইয়ামিনকে গুলি করা হয়। তার বুকে অনেকগুলো বুলেটের আঘাত পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় তাকে সাঁজোয়া যান থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি সাঁজোয়া যানের চাকার কাছে সড়কে পড়ে থাকেন। এরপর পুলিশের এক সদস্য সাঁজোয়া যান থেকে নিচে নামেন। এক হাত ধরে তাঁকে টেনে আরেকটু দূরে সড়কে ফেলে রাখেন। এখানেই শেষ নয়, পরে কয়েকজন পুলিশ মিলে তাঁকে টেনে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে ঠেলে অপর পাশে ফেলে দেন।
জীবনীঃইয়ামিন সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। তিনি রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন, থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে। ইয়ামিন সাহসী ছিলেন। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করতেন। ইয়ামিন অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বন্ধুরা কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে ইয়ামিন বুঝিয়ে দিতেন। ইয়ামিন বিতর্ক করতেন। এমআইএসটিতে বিতর্ক ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইয়ামিন। ছেলে বড় হলেও অবসরে ছোট বাচ্চাদের মতো ‘টম অ্যান্ড জেরি’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্টুন দেখতেন বলে জানান তার বাবা।